- হ্যালো আসসালামু আলাইকুম
- ওয়ালাইকুম আসসালাম। কেমন আছো?
- আলহামদুলিল্লাহ্ ভাল। আপনি কেমন আছেন?
- আমিও অনেক ভাল আছি।
- আপনার জবের কি অবস্থা? কেমন চলছে?
- হুমম ভালই।
- তো কি কারণে ফোন দিলেন?
- এমনি। তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করলো তাই।
- ওহহহহ। খাওয়া দাওয়া শেষ হয়েছে?
- হুমম শেষ। তুমি খেয়েছো?
- হুমম প্রায়ই শেষ হয়ে গেছিলো। আপনার জন্য খাওয়া শেষ করতে পারিনি ভাল করে।
- আমি আবার কি করলাম?
- এই যে অসময় ফোন করলেন তাই।
- ওহহহহ। আচ্ছা সরি।
- আচ্ছা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন। অফিসে যেতে হবে তো।
- কাল ছুটি নিয়েছি।
- কেনো?? কি কারণে?
- কাল তোমার সাথে কিছুটা সময় থাকতে চাই। হবে কি সেই সময়?
- কিন্তু কেনো?
- কালই বলবো কারণটা।
- আচ্ছা ঠিক আছে।
.
.
এভাবে সারা রাত কথা হলো। আমি সেই স্বপ্নের কথা গুলো তাকে বললাম। সে শুধু হাসছিলো কথা গুলো শুনে। সে যখন হাসতো মনে হতো পৃথিবীর সবটুকু আনন্দ আমার কাছেই আছে। খুবই ভাল লাগতো তার মায়াবী কথা গুলো। খুব আবেগ দিয়ে কথা বলতো। যার কারনে তার প্রতি আমার দুর্ভলতা এত বেশি ছিলো।
.
- দোস্ত কই তুই?
- বাথরুমে। কেন কি হইছে?
- তুই কি বাথরুমে ঘুমাইছোত কাল??
- বাথরুমে ঘুমামু কেনো?
- এই যে বললি তুই নাকি বাথরুমে। তাহলে বাথরুমে বইসা মুরগীর মতো ঝিমাইতাছোত কেনো?
- আরে শালা কি কবি তাড়াতাড়ি কইয়া লা।
- নতুন একটা মেয়েকে পটাইছি। দোস্ত কিছু টাকা ধার দিবি।কিছুদিন পরই দিয়ে দিবো।
- শালা ১০ হাজার টাকা দিয়ে ফেলছি। এখন পর্যন্ত ১ টাকাও দেছ নাই।
- দোস্ত এইবার দিয়া দিমু। সত্যি।
- তোরে ধার দেওয়া মানে ভিক্ষা দেওয়া। শালা তোরে আর ভিক্ষা দিমু না।
- দোস্ত নতুন মেয়ে পটাইছি। খালি পকেটে কি ডেটিং এ যাওয়া যায়??
- আচ্ছা ভাই একটু পরে পাঠাই দিমু নে বিকাশে।
- ধন্যবাদ দোস্ত।
.
আমার সেই কিপটে ফ্রেন্ডের সাথে কথা বললাম মাত্র। কি আর করার বেচারা নতুন গফের সাথে ডেটিং যাবে তাই টাকা টা দিয়ে দিলাম।এই দিকে রোজাকে নিয়েও আজ বের হবো।ভাবতেই অনেক খুশি লাগছে।
.
রোজার ফোনে কল দিয়ে বের হওয়ার জন্য বললাম।কিছুক্ষনের মধ্যেই বের হয়। কোনো সমস্যা হত না কারণ রোজার আর আমার সম্পর্কটা প্রায়ই সবাই জানতো। তো সেইদিন অনেক ঘুরা-ঘুড়ি করি।
.
- রোজা এটা তোমার জন্য।
- কি এটা?
- বাসায় গিয়ে খুলে দেখো।
- আচ্ছা।
- আজ আমি অনেক হ্যাপি।
- কেনো? এত হ্যাপি হওয়ার কারণ?
- কারণটা হলে তুমি।
- ওহহহহ।
- হুমম। তো এখন হাটি একটু চলো।
- হুমম আচ্ছা।
.
হাটলাম কিছুক্ষন তার পাশে। আবহাওয়া একটু মেঘলা ছিলো। মনে মনে ভাবছিলাম বৃষ্টি হলে ভাল হতো। একটু পর বৃষ্টির দেখা পেলাম। পরে ভিজে ভিজে বাসায় আসলাম। ভালই লাগতো বৃষ্টিতে ভিজতে।
.
এভাবে আরো কিছুদিন চলে গেলো। অবেশেষে বিয়ের তারিখ এসে পড়লো। কয়েকদিন পরই বিয়ে। বাহ ভাবতেই কি অবাক লাগছিলো। অবাক লাগার কারণ, কখনো ভাবিনি রোজাই হবে আমার ফিউচার লাইফ পার্টনার। আসলে কাউকে সত্যি কারের ভালবাসলে সেই ভালবাসা একদিন না একদিন সত্যি হবে।
.
আল্লাহ্র রহমতে বিয়ে সম্পূন্য হলো। বিয়ের প্রথম রাত রোজা বসে আছে বিছানাতে। আমি রুমের ভেতরে যাওয়া মাত্রই রোজা আমাকে সালাম করে।
.
- আচ্ছা রোজা তোমার কি মনে আছে সেইদিনের কথা?
- কোন দিনের কথা?
- ঐ যে তোমাকে প্রপোজ করতে যেয়ে।<আর বলতে পারলাম না। কারণ রোজা বুঝে গেছে তাই হাসছিল>
- হুমম তখন আম্মু অনেক হাসছিল তোমার কাহিনী দেখে। সরি ভুলে তুমি বলে ফেললাম।
- আহা তাতে কি? এখন থেকে দু'জন দু'জনকে তুমি করে বলবো।
- হুমম আচ্ছা।
.
আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লো। এভাবেই কেটে যায় নাবিদ এবং রোজার বিবাহিত জীবন। ভাল থাকুক তারা ভাল থাকুক তাদের ভালবাসা। অবেশেষে ভাদাইম্মা টা এখন আর ভাদাইম্মা নেই।
.
.
.
📝 হৃদয় নাদিম (((AR PagLaaa)))
.
🔸🔹🔸(((সমাপ্ত)))🔹🔸🔹
Comments
Post a Comment