- মা, মা।
- হুম বাবা বল।
- আজ কি রান্না করছো?
- মুরগির মাংস রান্না করতেছি।
- আজও মুরগির মাংস?
- কেনো? কি খাবি তাহলে?
- বিড়িয়ানি রান্না করো না। ফ্রিজে মাংস আছে না?
- হ্যা আছে তো। কিন্তু বিড়িয়ানির মশলা নাই।
- সমস্যা নাই। আমি বিড়িয়ানির মশলা নিয়ে আসছি। আর তোমার কষ্ট করে বিরিয়ানি রাঁধতে হবে না মা। নীলাকে বলি ও রান্না করবে।
- কেনো শুধু শুধু মেয়েটাকে রান্নাঘরে আসবে। আমিই রেঁধে দেই।
- মা। যদি না শিখে তাহলে পরে আমাকে কে রান্না করে খাওয়াবে? আর তুমিই নীলাকে বিরিয়ানি রান্না শিখিয়ে দিবে।
- আচ্ছা এখন গিয়ে মশলার প্যাকেট নিয়ে আয়।
- আচ্ছা যাচ্ছি মা।
.
- রিয়াদ কইরে দোস্ত।
- কেনো?
- আয়তো বাহিরে যাবো একটু।
- আচ্ছা আসতেছি।
.
পরে আমি আর রিয়াদ গেলাম দোকানে। তখন দুপুর সাড়ে ১২ টা। মা'য়ের হাতের বিরিয়ানি অনেকদিন ধরেই খাওয়া হয় না। আর আজ নীলার হাতের বিরিয়ানি খাবো। জানি মজা হবে কারণ মা দেখিয়ে দিবে। রিক্সা নিয়ে সোজা দোকানে চলে গেলাম।
.
- কিরে দোস্ত আংকেল আন্টি কেমন আছে?
- হুমম ভালই আছে। আব্বুর শরীরটা বেশি ভালো না রে দোস্ত।
- কি বলিস? বাসায় যা তাহলে।
- হ্যা যাবো।
- আজ কত তারিখ রে?
- আজ ২৩ তারিখ।
- ফেব্রুয়ারি মাস না?
- হ্যা। এই বেটা আমি তো ভুলেই গেছিলাম এটা ফেব্রুয়ারি মাস।
- কেনো? ফেব্রুয়ারি মাসে কি?
- আরে বেটা আগামীকাল ২৪ শে ফেব্রুয়ারি আয়ানের জন্মদিন।
- কি বলিস।
- হ্যা রে। কি যে করি না আমি। আপুও কিছু বললো না আমাকে।
- সমস্যা নাই। তাহলে আগামীকাল ভাগিনার জন্মদিন পালন করবো। আর সেটা সারপ্রাইজ হিসেবে থাকুক।
- হুমম সেটা ঠিক বলছিস রিয়াদ। তাহলে আগামীকাল আয়ানের জন্মদিন পালন করা হচ্ছে।
- হুমম।
.
একেবারেই ভুলে গেছিলাম জন্মদিনের কথাটি। আর আমাদের আগামীকাল মিরপুর যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু কাল আর যাওয়া হবে না। শনিবার যেতে হবে। কথাটা শুধু আমি রিয়াদের সাথেই শেয়ার করলাম। বিরিয়ানির মশলা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। মা'য়ের কাছে মশলার প্যাকেটটা দিলাম। এবং নীলাকে ডাকলাম।
.
- নীলা একটু শুনো তো।
- হুমম আসছি।
.
- জ্বি বলেন।
- আজ মা'য়ের কাছ থেকে বিরিয়ানি রান্না শিখবে?
- হুমম এটা তো আরো ভালো। আমার জামাইটা তো আবার বিড়িয়ানির পাগল।
- কে বিড়িয়ানির পাগল?
- আমার জামাই।
- কে? শুনিনি। আর একবার বলো না।
- এত বলতে পারবো না। আমি তাহলে আম্মুর কাছে গিয়ে বিরিয়ানি রান্না শিখি।
- আহা থাকো না একটু। < হাতটি ধরে ফেলি নীলার >
- এই এখন কিছু হবে না। বাসায় মানুষ আছে। কেউ চলে আসবে কিন্তু।
- আসুক। বউটা তো আমারই।
- জ্বি না।
.
নীলাকে বুকে জড়িয়ে নিলাম। নীলা শুধু বলতেছিলো কেউ চলে আসবে ছাড়েন না। আমি আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখি। একটু পরেই মা চলে আসেন রুমে। মা'কে দেখে সাথে সাথে নীলাকে বুক থেকে সরিয়ে নিলাম। তখন আমারই খুব লজ্জ্বা লাগছিলো। নীলা নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলো। গতকাল খেলাম আপুর কাছে ধরা। আজ খেলাম মা'য়ের কাছে। মা নীলাকে ডাকতে এসেছিলো এই রুমে। আমিও কি বোকা দরজা না দিয়ে পর্দা দিয়ে রেখেছিলাম। আর পর্দা সরাতেই মা'য়ের কাছে ধরা খেলাম।
.
- মা আসো।
- জ্বি আম্মু আসতেছি।
.
মা নীলাকে ডেকে চলে গেলেন। আমি বিছানার উপর বসলাম। এবং নীলার থেকে বকা শুনলাম। তখন নীলার বকা গুলো শুনতেও মিষ্টি লাগছিলো কেনো জানি।
.
- শয়তান। বলছিলাম না কেউ চলে আসবে। এখন হয়েছে তো?
- আমি কি করবো?
- কিছু করতে হবে না। বোকারাম একটা।
- হুমম।
.
পরে নীলা চলে গেলো রান্নাঘরে। আমিও আমার রুম থেকে চলে আসি। সবাই বসে টিভি দেখতেছিলো। আমি এসে টিভির রিমোট নিয়ে গান প্লে করলাম। এইদিকে টয়াও বকছিলো। টয়া সিরিয়াল দেখতেছিলো টিভির রিমোট টয়ার হাতেই ছিলো। আমি তার হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ইউটিউবে গান প্লে করি।
.
- আরে সিরিয়ালটা শেষ হউক।
- সর সামনে থেকে। সারাদিন শুধু সিরিয়াল সিরিয়াল করিস কেনো?
- ভাই দে না। তুই না ভালো।
- না আমি ভালো না। আমি অনেক খারাপ।
- খালাম্মা, খালাম্মা।
.
মা রান্নাঘর থেকে চলে আসে টয়ার ডাকে।
.
- কিরে কি হয়েছে?
- দেখো না তোমার পোলায় কি শুরু করছে। এত সুন্দর সিরিয়ালটা পাল্টিয়ে কি গান শুনতেছে।
- সারাদিন কি শুধু এই আরফিন রুমির গানই শুনবি? তোর জন্য টিভি দেখেও শান্তি পায় না কেউ।
- মা। কি সুন্দর একটা গান দেখছো। আর কি সিরিয়াল সিরিয়াল করো তোমরা।
- পরে শুনিছ তোর গান। এহন রিমোট দে।
.
মা'য়ের সাপোর্ট পেয়ে টয়া আমার কাছ থেকে রিমোট নিয়ে গেলো। কিছু করার নাই। এই স্টার প্লাসটা একেবারে শেষ করে দিছে। একটার পর একটা শুধু সিরিয়াল আর সিরিয়াল। কি আর করার সবার সাথে বসে সিরিয়ালই দেখতে হলো। মেয়ে জাতি সব কিছুতেই জিতে যায়। হেরে যায় শুধু ছেলে জাতিই। বোরিং লাগতেছিলো তাই ঐ রুম থেকে উঠে চলে আসি টয়ার চুল টেনে।
.
- মুটকি তোর খবর আছে।
- সর সামনের তে কংকাল।
- আমি কংকাল? চুল ধরে টানলাম।
- খালাম্মা তোমার পোলায় আমারে মারতেছে।
.
কিছু হলেই শুধু বিচার দেয়া। আমার রুমে বসে মোবাইল দিয়েই গান শুনছিলাম। গানটি আমার খুব পছন্দের। "তোমার চোখে আকাশ আমার চাঁদ উজাড় পূর্ণিমা ভেতর থেকে বলছে হৃদয় তুমি আমার প্রিয়তমা" গানটি কেনো জানি অনেক পছন্দের ছিলো। গানটি শুনতেছিলাম আর চোখ বুঝে কল্পনা করছিলাম নীলাকে নিয়ে। এরকম ফিল কোনো গানেই পাওয়া যাবেনা।
.
কিছুক্ষণ পর বিড়িয়ানির ঘ্রাণটা নাকে আসে। আহ কি সুন্দর ঘ্রাণ। রুম থেকে উঠে সোজা চলে গেলাম রান্নাঘরে। মা নীলার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। আমিও তাদের পিছু গিয়ে দাঁড়ালাম। নীলার হাতে একটা চিমটি কাটি। নীলা উঁহু করে উঠে। পিছু ফিরে দেখে আমাকে। ধ্যাত তখন ও মা'য়ের কাছে বকা শুনতে হলো।
.
- তোর চিমটা-চিমটি স্বভাব আর গেলো না।
- কি করলাম আমি?
- চুপ।
- মা রান্না হইছে? কি সুন্দর ঘ্রাণ বের হয়েছে। ক্ষুধা পেয়ে গেলো তো।
- আর একটু হবে। আচ্ছা আমি তোর জন্য সালাদ বানাই তাহলে।
- হুম যাও।
.
মা চলে গেলেন রান্নাঘর থেকে। এখন রান্নাঘরে আমি আর নীলা। নীলা রাঁধছে আমি তার পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি।
.
- কিগো ব্যথা পেয়েছো?
- একটু পেয়েছি। আর আপনি এরকম করেন কেনো সবার সাথে?
- আমার ভাল লাগে দুষ্টামি করতে।
- এর কারণে তো বকাও শুনেন।
- এটা অভ্যাস হয়ে গেছে।
- হাহাহা। আসলেই আপনি যে কেমন বুঝিনা আমি।
- না বুঝতে হবে তোমার। তুমি না বুঝলে হবে না।
- কি হবে না?
- কিছুই হবেনা।
- আচ্ছা তাহলে রুমে যান। রান্না হলে আপনার জন্য নিয়ে যাবো।
- ঠিক তো? আর আজ কিন্তু খাইয়ে দিবে তুমি।
- আচ্ছা দেখি। এখন যান না।
.
পরে রুমে চলে এলাম। আসলেই আমি একটু বেশি জ্বালাতাম সবাইকে। কিন্তু সবাইকে আপন ভাবতাম বলেই জ্বালাতাম বেশি। গোসল করে ফেললাম সবাই। একটু পর নীলা আমার জন্য প্লেটে করে বিরিয়ানি নিয়ে আসে। কিন্তু আমি নিজের হাতে খাবো না। একটা সময় বাধ্য হয়ে নীলা তার হাতেই আমাকে খাইয়ে দেয়। আমি মাঝে মাঝে তার আঙুলে আসতে করে কামড় দিতাম। আর নীলা বলতো "দুষ্টামি না করলে হয় না"?
.
ভাগ্য ভাল ছিলো যে তখন কেউ আসেনি রুমে। কেউ আসলে নীলা আর খাইয়ে দিতো না আমাকে। কিছুক্ষণ পরে সবাই খেতে বসে। আমাকে ডাকে আমি বলছিলাম খাবো না। মা ভাবছিলো রাগ করছি। তাই মা আমার সামনে এসে খাইয়ে দিবে। কিন্তু না আমি খাবো না। খাবো কিভাবে পেট ভরা ছিলো। নীলা তো বুঝেছেই কেনো খেতে চাচ্ছিনা। নীলা হাসছিলো মা ছেলের কাহিনি দেখে।
.
- বউমা হৃদয়কে বলো তো খেতে। আমার কথা তো শুনছেই না।
- আম্মু উনি খেয়েছেন তাই এমন করছেন।
- দেখ কেমন খারাপ। তাই তো বলি খাইয়ে দিবো শুনেও কেনো খেতে চাচ্ছেনা।
.
সবাই দুপুরের খাবার শেষ করলো। আমি একটু ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে তাড়া-তাড়ি উঠেছিলাম তাই ঘুম আসছিলো একটু। ঘুম থেকে উঠে দেখি রুমে কেউ নেই। দরজা বাহিরে থেকে লাগানো। মা'কে কল দিলাম। মা'য়ের মোবাইল রুমেই বাজছিলো। পরে নীলাকে কল করলাম। নীলার মোবাইল ও রুমে। কেমনটা লাগে কোথায় গেছে সবাই। তাই আপুকে কল দিলাম।
.
- কিরে ঘুম ভেঙেছে তোর?
- আপু তোরা কোথায় রে?
- আমরা সবাই ছাদে।
- দরজা খুলে দিয়ে যা।
- নীলাকে পাঠাচ্ছি।
.
আমি এই সুযোগে ফ্রেশ হয়ে নেই। একটু পর নীলা এসে দরজা খুলে দেয়। নীলার সাথে একটু রাগা-রাগি করি। মোবাইল সাথে না রাখার কারণে। নীলা একটু মন খারাপ করে সেইদিন। পরে আমিই একা একা ভাবছিলাম এভাবে রাগা-রাগি করাটা ঠিক হয়নি। এখন তো তার রাগ ভাঙাতে হবে। মন খারাপ করে বসে আছে নীলা। তার ঘোমড়া মুখটি দেখে আমারই খারাপ লাগছিলো।
.
- কলিজা, জান, বউ, ভালবাসা।
- প্রেম দেখাতে হবে না আপনার।
- সরি গো। মাফ করে দেও না। রাগ করোনা প্লিজ।
- রাগ করিনি আমি। < মুখ ঘোমড়া করে কথা বলছিলো >
- এই এমন করে না লক্ষী বউ আমার। < হাতটি ধরে বলি কথাটি >
- হাত ছাড়েন। আমি কারো বউ না। হুহ।
- এখন কিন্তু কান্না করবো আমি।
- করেন। আমার কি।
- সত্যি সত্যি কিন্তু করবো।
- যা ইচ্ছে করেন।
.
কি আর করার খারাপ ও লাগছিলো আবার রাগ ও উঠতেছিলো। তখনও সবাই ছাদেই ছিলো। রুবেলকে কল দিলাম।
.
- কিরে কোথায়? ছাদে আয়।
- হুমম আসতেছি। শোন রুবেল সিগারেটের প্যাকেটটা কোথায় রেখেছিস রে?
- আমার ব্যাগে আছে খুঁজে দেখ।
.
পরে রুবেলের ব্যাগ থেকে সিগারেটের প্যাকেটটি নিয়ে একটা সিগারেট নিলাম। নীলার সামনেই সিগারেট ধরালাম। দুঃখ এবং রাগ কন্ট্রোল করার জন্য এটাই পার্ফেক্ট ছিলো আমার জন্য। নীলার সামনেই একটা টান দিলাম। দিত্বীয় বার যখন টান দিবো তখনই নীলা আমার হাত থেকে সিগারেটটি নিয়ে ফ্লোরে ফেলে দিলো। শুধু সিগারেট না পুরো প্যাকেটটাই জানালা দিয়ে ফেলে দেয়।
.
- এইগুলো কি? < একটু রেগে যায় >
- কিছু না। ফেলে দিলে কেনো? আমি খারাপই হয়ে যাবো।
- চুপ শয়তান।
.
আমার বুকে নীলার মাথাটি রাখে। মেয়েটি কেমন জানি। এত ভালবাসে কেনো আমাকে? তার ভালবাসায় আমাকে সব খারাপ কাজ গুলোকে হার মানিয়ে ফেলছে প্রতিনিয়ত। আর আমিও ভালবাসা শিখছি তার কাছ থেকেই। ভালবাসার মানেটাও হয়তো বুঝতে শিখেছি তার কাছ থেকেই। পরে বুক থেকে তার মাথাটি সরিয়ে নেই। তার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি সে কাঁদছে।
.
- এই তোমার চোখে পানি কেনো? প্লিজ কাঁদবে না নীলা।
- আপনি এইগুলো করেন কেনো? < কেঁদে কেঁদে কথাটি বলে >
- তুমিই তো আমার সাথে অভিমান করে ছিলে। আচ্ছা সরি আর হবে না কখনো।
.
আবারো বুকে জড়িয়ে নিলাম। তার চোখের পানি মুছে দিলাম। পাগলি মেয়ে একটা। পরে নীলাকে বললাম ফ্রেশ হয়ে আসতে। আমিও পরে রুমে স্প্রে মেরে দিলাম। যাতে কেউ সিগারেটের গন্ধ না পায়। এবং নীলাকে নিয়ে ছাদে গেলাম। সবাই অনেকক্ষণ আড্ডা মারলাম। নীলা চুপ-চাপ দাঁড়িয়ে ছিলো। নীলার পাশে গিয়ে কানের সামনে গিয়ে বললাম।
.
- ভালবাসি আমার আয়াতের আম্মুটাকে।
- একটু মুচকি হেসে বলে "আমিও"
.
অবশেষে আমার বউটার হাসি মাখা মুখটি দেখতে পেলাম। তার হাসি দেখে আমার পরাণটা জুড়ে গেলো। আসলেই ভালবাসার মানুষটির মুখের হাসি পৃথিবীর সব কিছুকেই হার মানিয়ে দিবে। আমি আমার বউটাকে বড্ড বেশিই ভালবাসি। সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে তাই রুমে চলে আসি সবাই। এবং আমাদের মজা-মাস্তি আনলিমিটেড চলছিলো।
.
আজ ২৪ শে ফেব্রুয়ারি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠেই রিয়াদ এবং রিমনকে নিয়ে চলে আসি মার্কেটে। ভাগিনার জন্য কিছু গিফট্ কিনলাম। এবং কেকের অর্ডার দিয়ে আসলাম। বাসায় কেউ জানেনা আমাদের প্ল্যানিং এর কথা। সারপ্রাইজ দিবো ভেবেই কাউকে জানানোর প্রয়োজন মনে করিনি। রিমনকে বলেছিলাম গিফট্ গুলো ওদের বাসায় রাখার জন্য। কারণ আমাদের বাসায় নিয়ে গেলে আপু বুঝে ফেলবে।
.
সন্ধ্যায় গিয়ে কেকটা নিয়ে আসি। এবং রিমনকে বলি গিফট্ গুলো নিয়ে বের হতে। বাসায় গেলাম আয়ানকে খুঁজলাম। সবাই দেখি একই রুমে বসে আছে। পরে আমি কেক আর গিফট্ গুলো নিয়ে আয়ানের সামনে গিয়ে বলি "হ্যাপি বার্থডে কলিজা" তখনই সবাই জানতে পারে যে আজ আয়ানের জন্মদিন। আয়ানকে নিয়ে কেক কাটলাম সবাই মিলে। অনেক মজা করলাম।
.
- তোর মনে আছে?
- মনে থাকবে না কেনো? একটা মাত্র ভাগিনা আমার।
- হুমম বুঝলাম। আমি তো তোদেরকে সারপ্রাইজ দিতে গিয়ে নিজেই সারপ্রাইজ হয়ে গেলাম।
- মানে?
- তোর ভাইয়া গেছে কেক আনতে। ভাবছিলাম যে তোর ভাইয়া কেক নিয়ে আসলে সবাই জানবে। কিন্তু এর আগেই জেনে গেলো সবাই।
- হাহাহা। এখন কি কেক কেটেই জন্মদিন পালন করবি? নাকি রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাবি সবাইকে?
- সবাইকে রেডি হতে বল গিয়ে।
- আচ্ছা ঠিক আছে।
.
সবাই রেডি হলাম। এবং নীলাকে কালো রংয়ের শাড়িটাই পড়তে বলেছিলাম। এবং সে কালো রংয়ের শাড়িটাই পড়েছিলো। রেস্টুরেন্টে গিয়ে রাতে ডিনার শেষ করলাম। এবং রেস্টুরেন্টেই ভাইয়ার নিয়ে যাওয়া কেকটা কাটলাম। অনেক ভাল লাগলো সেইদিন। ঐ দিন আয়ান সবার কাছ থেকে অনেক গুলো গিফট্ পায়। আজ আয়ানের ১ বছর পূর্ণ হলো। আল্লাহ্ আমার কলিজাটাকে সুস্থ রাখুক এই কামনাই করি।
.
(((((((((((( ♥♥হ্যাপি বার্থডে আয়ান♥♥))))))))))))
.
(চলবে)
.
.
লেখাঃ হৃদয় নাদিম
Comments
Post a Comment