বউয়ের জ্বালা // ২য় পর্ব \\



রাত ৩ টা বেজে যায় বিয়ের ঝামেলা শেষ হতে। আমার কেনো জানি অনেক বেশি ঘুম পেয়ে যায়। ঘুম পাওয়ারই তো কথা শরীর ক্লান্ত ছিলো। আমি চোখ মেলে তাকাতেও পারছিলাম না। ঠিক তখনই দিয়ার আম্মু খেয়াল করে আমার বিষয়টা। তাই দিয়া কে গিয়ে বলে আমাকে রুমে নিয়ে যেতে। আর কতক্ষণ বসে আড্ডা দেওয়া যায়। তারা যেভাবে কথা বলা শুরু করেছে ৩৬৫ দিনেও তাদের কথা শেষ হবেনা। তারা কথা বলুক ভাই। আমি আর পারবো না। 
.
কিছুক্ষণ পর আমার ছোট বোন টিনা আমাকে চিমটি কেটে বলে ঘুমাতে যাওয়ার জন্য। কিন্তু বুঝতেছিলাম না যে কোথায় ঘুমাবো। তাই টিনা'কে জিজ্ঞাসা করলাম।
.
- তোমার বউয়ের রুমে ঘুমাবে। এ ছাড়া আর কোথায় ঘুমাবে।
- মানে। আমি কেনো তার রুমে ঘুমাবো। আমি একা ঘুমাবো।
- তাহলে ভাইয়া একটা কাজ করো। তুমি একাই যেহেতু ঘুমাতে চাচ্ছো তাহলে তোমার জন্য শোভার ঘর আছে।
- কোথায়?
- ছোট রুমে গিয়ে ঘুমাতে পারো।
- মানে। ছোট রুম আবার কোথায়?
- ভাইয়া ছোট রুম চিনো না? কি যে বলো ভাইয়া তুমি।
- ওই পাকামো না করে তাড়া-তাড়ি বল।
- ভাইয়া রাগতেছো কেনো? এই বাসায় তো তিনটা ছোট রুম আছে। 
- আরে বাবা সে ছোট রুমটা কোথায়? সেটা তো বলবি নাকি?
- কেনো ওয়াশরুম চিনো না তুমি?
- মানে? মজা করতেছিস তুই? আমার কিন্তু রাগ উঠতেছে। 
.
টিনা মেজাজটাই খারাপ করে দিলো। কিছুক্ষণ পর টিনা দিয়ার রুমে নিয়ে গেলো আমাকে। তার রুমে গিয়ে দেখি। ফুল দিয়ে পুরো বেড সাজানো। সেটা দেখে আরো রাগ উঠে যায়। কিছু করার নাই রাগ দেখানোর সাহসটুকুও ছিলো না তখন। ছোট বোন চলে যায় আমাকে রুমে রেখে। আমিও পরে খাটে গিয়ে শুয়ে পরলাম। বিছানায় শরীর লাগার সাথে সাথেই ঘুম চলে আসে। ঠিক পাঁচ থেকে দশ মিনিট পরই ঘুমটা ভেঙ্গে যায়। ভেঙ্গে যাওয়ার কারণ হলো দিয়া।
.
- এই যে। 
- দেখো মা মাত্র চোখটা বুঝলাম আর এখনই তোমার ডাকতে হয়।
- আরে আজব নাকি। এই আগে চোখ মেলেন তারপর দেখেন আমি কে।
- উফফফ মা।
- এই স্টুপিড। 
.
চিৎকার করে বলে উঠে। সাথে সাথে চোখ মেলে দেখি অচেনা কাউকে। রুমের লাইট অন করাই ছিলো। আমি তাকে দেখার সাথে সাথে উঠে বসি। এবং ঘুম ঘুম কন্ঠেই তাকে বললাম।
.
- কে আপনি?
- আজব। আমি কে মানে। আমার বেড রুমে শুয়ে আছেন আর বলছেন আমি কে। 
- মানে?
.
পরে সবকিছু মনে পড়ে যায় যে, সে দিয়া। যার সাথে আমার কিছুক্ষণ আগে বিয়ে হয়। এবং খাল কেটে আমি তাকেই এনেছি মানে কুমির এনেছি।
.
- উঠেন আমি ঘুমাবো। আমার ঘুম পেয়েছে।
- আচ্ছা ঠিক আছে। 
.
বলে আমি বিছানা থেকে উঠে পরি। কিন্তু পরে ভাবি যে তাহলে আমি কোথায় ঘুমাবো। দাঁড়িয়ে রইলাম কিছুক্ষণ এবং ভাবছিলাম কিছু কথা। দিয়া দেখতে অনেক সুন্দরী ছিলো। আসলেই সিলেটি ফুরি। তবে এত সুন্দরী একটা মেয়ের স্বামী এরকম একটা ছেলে হবে ভাবাই যায়না। আমার নিজেরই খারাপ লাগছিলো তার জন্য। এরকম আরো কত কিছু যে মনে মনে আসছিলো। কিন্তু তার ডাকে সব ভাবনা থেকে বাস্তবে ফিরে আসি।
.
- দাঁড়িয়ে আছেন কেনো?  ঘুমাবেন না? 
- জ্বি না। মানে হ্যা। কিন্তু..
- কিন্তু কী?
- ঘুমাবো কোথায়?
- কেনো আমার রুমটা তো ছোট নয়। এ ছাড়া বেলকোনি আছে এবং ওয়াশরুমও আছে। যেখানে খুশি ঘুমাতে পারেন। 
- ওহহহ আচ্ছা। 
.
কেনো জানি মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছিলো না আমার। তিনি যা বলছিলেন সবকিছুই মাথা নাড়িয়ে হ্যা হ্যা করছিলাম। আমিও তার কথা মতো বেলকোনিতে যাই। কিন্তু বাহিরের আবহাওয়াটা ছিলো খুবই অসয্যকর। অনেক ঠান্ডা ছিলো তার মাঝে আবার বাতাস আসছিলো। শীতে একদম শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম। মোবাইলের ফ্লাস জালিয়ে দেখলাম বেলকোনিতে একটা চেয়ার আছে। তো কি আর করার কোনো উপায় না পেয়ে চেয়ারে গিয়ে বসে পরি। আমার গায়ে শুধু একটা শার্ট ছিলো। এরকম ঠান্ডায় মনে হয়না বাঁচবো। মনে হচ্ছিলো আজই হয়তো শেষ দিন আমার। চেয়ারে বসে বসে কাঁপছিলাম। ঘুম যে কখন পালিয়ে গেছে বুঝলামই না। 
.
মোবাইলটা পকেট থেকে বের করে দেখলাম সাড়ে চারটা বাজে। মানে প্রায় ১ ঘন্টা ধরে আমি বেলকোনিতে বসে আছি। যতই রাত গভীর হচ্ছিলো ঠিক ততোটাই ঠান্ডা বাড়ছিলো। কেমন স্বার্থপর একটা মহিলা। এরকম ঠান্ডার মধ্যে আমাকে এইখানে পাঠিয়ে দিয়েছে। তারপরও আবার মনে হচ্ছিলো যে এছাড়া আর কী'ই বা করার ছিলো তার সে ও তো ঘুমাবে। এইসব কথা বাদ দিয়ে চোখ বন্ধ করে শীতে কাঁপুনি দিয়ে বসে আছি। কিন্তু না আর পারছিলাম না। শেষ পর্যায় বেলকোনি থেকে রুমের ভেতরে চলে গেলাম। ঠান্ডায় চোখ দিয়ে পানি পর্যন্ত বের হচ্ছিলো। রুমের একটা পাশে গিয়ে বসে ছিলাম ফ্লোরে। অন্তত তখন ঠান্ডা খুবই কম লাগতেছিলো। লাইট অফ ছিলো তখন। আমি বসা অবস্থাতেই ঘুমিয়ে যাই। 
.
সকাল ৯ টায় ঘুম ভেঙ্গে যায় দরজার শব্দে। কে যেনো দরজা নক করছিলো। ঘুম থেকে উঠে দেখলাম আমি বিছানায়। কিন্তু আমার স্পষ্ট মনে ছিলো কি হয়েছিলো আমার উপর। তবে বিছানায় কিভাবে আসলাম সেটাই তো বুঝতেছিলাম না। লাইট অন করলাম এবং অন করে দেখলাম সে সোফায় শুয়ে আছে কম্বল নাকে মুখে দিয়ে। কিন্তু আমি বিছানায় কিভাবে আসসালাম আমি তো ফ্লোরে ছিলাম। আর ঐ দিকে তো দরজা নক করতেছিলোই। তাই বিছানা থেকে উঠে তার সামনে গিয়ে তাকে ডাকলাম। কিন্তু সে উঠছিলো না। ডাকতে ডাকতে একটা সময় উঠেন তিনি। 
.
- এই যে দেখেন তো কে যেনো দরজা নক করছে।
- হুমম। কয়টা বাজে?
- ৯ টা বাজে। 
- আচ্ছা দেখছি আমি।
.
সে গিয়ে দরজা খুলে। আর কেউ নয় টিনা এসেছে। 
.
- শুভ সকাল ভাবি।
- শুভ সকাল। 
- ভাইয়া উঠেছে?
- হ্যা উঠেছে। আসো ভেতরে আসো।
.
টিনা ভেতরে এসে সরাসরি আমার কাছে আসে। এবং জিজ্ঞাসা করছে। 
.
- কী ভাইয়া আজ এত সকালে উঠলে?
- হ্যা। খুব ভাল ঘুম হয়েছে তো রাতে। তাই। 
.
কথাটি একটু জোড়েই বলি। দিয়া কথাটি শুনে কেমন জানি একটা রিয়েক্ট করলো। রিয়েক্টটা নেগেটিভ ছিলো। চোখ বড় করে তাকালো আমার দিকে। কিন্তু মুখে কিছু বলতে পারছিলো না। টিনা সামনে ছিলো বলে। তার রিয়েক্ট দেখে আমিও গলার আওয়াজ কমিয়ে দেই।
.
- ভাবি।
- হ্যা টিনা বলো।
- তোমাদের ডাকছে সবাই নাস্তা খেতে।
- আচ্ছা তুমি যাও ফ্রেশ হয়ে আসছি আমরা।
- ঠিক আছে ভাবি। ভাবি তুমি অনেক ভাল।
- তুমিও অনেক ভাল।
.
টিনা চলে গেলো। আমি তো আসতে আসতে বলছিলাম হ্যা আসলেই ভাল। এতই ভাল যে ভাল বললেও কম হয়ে যাবে।
.
- ফিসফিস করে কি করছেন? যান ফ্রেশ হয়ে আসুন। টিনা কি বলেছে শুনেননি?
- হুম শুনেছি। 
.
ফ্রেশ হয়ে আসলাম। এসে দেখি সে বিছানায় শুয়ে আছে। আমিও তাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলতে ছিলাম। ' হ্যা শুধু তো আমাকে একাই নাস্তা করতে যেতে বলেছে। আর অন্যকাউকে তো বলেছে ঘুমিয়ে থাকতে ' আমার কথা শুনে সে চোখ মেলে তাকালো। এবং মুচকি হাসি দিয়ে বললো।
.
- আপনার ঘুম কেমন হলো?
- হুমম। খুব ভাল হয়েছে। এরকম ভাল ঘুম  আমার লাইফে কখনো হয়নি। সারাজীবন মনে থাকবে।
- আচ্ছা মনে থাকাটাই ভালো।
.
দিয়া ফ্রেশ হওয়ার জন্য যায়। আমি বিছানায় বসলাম। এবং পুরো রুমটা চোখ ঘুরিয়ে দেখলাম। আর একটা বিষয় আমি না ঘুম থেকে উঠার পর কেমন জানি প্যাক প্যাক একটু বেশি করতেছিলাম। কিন্তু কেনো সেটা তখনও জানতাম না। টিনা আবারও আসে এই রুমে। এসে বলে যায় ডাইনিং এ যাওয়ার জন্য। ২০ মিনিট হয়ে গেলো এখনও তার ফ্রেশ হওয়া শেষ হয়নি। ওয়াশরুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরলো নাকি। আমি ওয়াশরুমের সামনে গিয়ে দরজা নক করে বললাম "আর কতক্ষণ লাগবে আপনার ফ্রেশ হতে। নাকি ঘুমিয়ে পরেছেন। " 
.
ধ্যাত মেয়ে মানুষ মানেই বিরক্তিকর। সবকিছুতেই এত এত সময় লাগে তাদের। একটু বেলকোনিতে যাই গিয়ে দেখে আসলাম বাহিরে পরিবেশটা। না অন্তত ঠান্ডা খুবই কম রাতের থেকে। কেনো জানি ইচ্ছে করছিলো একটা সিগারেট খেতে। কিন্তু সাথে করে তো নিয়েও আসিনি। আচ্ছা যাইহোক নাস্তা খেয়ে তারপর যাবো বাহিরে। সিগারেট খেতে হবেই না খেলে পাগল হয়ে যাবো। এর মধ্যে সে বের হয়েছে। বের হয়ে উল্টা আমার উপর চিল্লাচিল্লি শুরু করে দেয়।
.
- শুনেন আমি আপনার মতো যেখানে সেখানে ঘুমিয়ে যাই না। আর ফ্রেশ হতে একটু সময় লাগেই। আপনার মতো নাকি ঢুকবো আর বের হবো। কে জানে ফ্রেশ হয়েছেন কিনা না হয়েই বের হয়ে গেছেন।
- আচ্ছা তারা অপেক্ষা করছে অনেকক্ষণ যাবৎ। আমাদের যাওয়া দরকার একটু তাড়া-তাড়ি।
- ৫ মিনিট অপেক্ষা করেন।
- আরো ৫ মিনিট? একটু তাড়া-তাড়ি রেডি হইয়েন। 
.
এইদিকে নাস্তা খাওয়ার জন্য আমার কষ্ট হচ্ছিলো না। কষ্ট হচ্ছিলো সিগারেট না খেতে পারাটা। অবশেষে আমরা গেলাম গিয়ে বুঝাই যাচ্ছিলো যে তারা অপেক্ষা করছিলো আমাদের জন্য। আর আমার তো তাকে দেখে ফিল হচ্ছিলো যদি ইচ্ছে মতো বকা শোনাতে পারতাম। মাথায় ঘোমটা দিয়ে কি ভদ্র ভাবে সবার সামনে গেলো। কিন্তু আমি তো আগেই বলেছিলাম ভদ্র হলেই সে ভাল হয়ে যায় না। ভদ্রের মধ্যেও অভদ্রদের খুঁজে পাওয়া যায়। আর তার মধ্যে হচ্ছে উনি। 
.
নাস্তা শেষ করে আমি আর রুমে আসলাম না। সোজা নিচে চলে গেলাম। এবং কিছুটা সামনে গিয়ে একটা চায়ের দোকান দেখতে পেলাম। দোকানে গিয়ে বসলাম।
.
- মামা কড়া লিগারে একটা রং চা দেন। আর একটা বেনসন দিয়েন।
- আচ্ছা মামা দিচ্ছি। 
.
সিগারেটটা আগে ধরাইলাম। চা বানাতে একটু সময় লাগছিলো। সিগারেটটা টানতে টানতে একটু অনলাইনে ঢুকলাম। এবং নিউজফিড দেখছিলাম। হঠাৎ দেখলাম আবির এর পোস্ট। এবং চেকিং দিয়েছে আরো একদিন আগে। এই কী ও সিলেটে এলো কবে। আবির'কে কল করলাম। 
.
- কিরে বন্ধু কেমন আছিস?
- আমি ভালই আছি। তুই এখন কোথায়রে আবির?
- আমি তো বন্ধু সিলেট এসেছি।
- হ্যা সেটা তো দেখলাম। ফেসবুকে পোস্ট করেছিস। কিন্তু সিলেট কেনো?
- মামার বাসায় আসছি। কিন্তু কেনো? তুই কই?
- আমি তো ঢাকাতেই। আসছিস কবে?
- কাল - পরশু চলে আসবো। 
- আচ্ছা ঠিক আছে। ভাল থাকিস।
- ঠিক আছে।
.
ইচ্ছে করেই আবিরকে মিথ্যা বলেছি। তা নাহলে ও অনেক কিছুই জিজ্ঞাসা করতো। আর আমি ঠিকমত উত্তর দিতে পারতাম না ফেঁসে যেতাম ওর কাছে। আবির হচ্ছে আমার স্কুল ফ্রেন্ড। অনেক আগে থাকতেই আমাদের পরিচয়। একমাত্র আবিরই আমার গোপন কথা জানে। কিন্তু কেনো জানি গতকালের কথা গুলো শেয়ার করতে ইচ্ছে করছিলো না। তাই মিথ্যে বলতে হয়েছে।
.
 চা এবং টা খেয়ে বের হইলাম দোকান থেকে। আহ কত যে শান্তি লাগছে। একটা সিগারেটই পারে একটা মন ফুটিয়ে তুলতে। মনের শান্তিতে হাটছিলাম রাস্তা দিয়ে। তখন ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমি বিয়ে করেছি। আর এখন বাসায় যাচ্ছি। তাড়া-তাড়ি করে আবারও মামার দোকানে আসলাম। এবং পানি দিয়ে ভাল মতো কুলি করলাম এবং চুইংগাম খেতে খেতে বাসায় গেলাম। 
.
মা'কে খুঁজছিলাম। টিনা'কে জিজ্ঞাসা করলাম টিনা বললো ভাবির  রুমে আছে। এই পেতনিটার রুমে কি করে। আমিও গেলাম ঐ রুমে। গিয়ে দেখি পেতনিটার সাথে বসে কথা বলতেছে। আমাকে দেখতে পেয়ে মা পাশে বসতে বললো। আমিও গিয়ে মায়ের পাশেই বসলাম।
.
- আমার পাশে বসতে বলছি? বউমার পাশে গিয়ে বস। দেখি তোদের দু'জনকে একটু।
- আহা মা। কী দেখার আছে আর?
- এত কথা বলছিস কেনো। যা গিয়ে বস।
.
গিয়ে বসলাম তার পাশে কিন্তু ডিস্টেন্স ছিলো প্রায়ই এক হাত। তো নরমালি বসে মোবাইল টিপতেছিলাম। আর মা কথা বলছিলো। আমি আমাদের বাসায় নরমালি যেভাবে থাকতাম ঠিক ঐরকম ভাবেই ছিলাম। কিছুক্ষণ পর মা চলে গেলেন রুম থেকে। আমি মোবাইলই টিপতেছিলাম। দিয়া উঠে গিয়ে দরজাটা লাগিয়ে লক করে আসে। আমি তো একটু ভয় পেয়ে যাই। যেভাবে আমার সামনে আসছিলো।
.
- কোথায় গিয়েছিলেন?
- একটু বাহিরে। কেনো কি হয়েছে? আর দরজা লক করেছেন কেনো?
- সিগারেট খেয়ে এসেছেন?
- সিগারেট। কই না তো। 
- মিথ্যে বলবেন না। সত্যি করে বলেন।
- হ্যা খেয়েছি। তো কি হয়েছে?
- খেয়েছেন তো এটা যেনো আজই শেষ খাওয়া হয়। যদি আর কোনোদিন আমি সিগারেটের গন্ধ পাই সেইদিন বোঝাবো।
.
কথাটি বলে অন্যরুমে চলে যায়। আর আমি বসে বসে ভাবছিলাম বিয়ে হয়েছে ১ দিনও হয়নি ভাল মতো। আর এই মেয়ে যেভাবে কথা বললো মনে হচ্ছে কত বছরের সম্পর্ক হয়ে গেছে। সে যাই বলুক আমি এটা কখনই ছাড়তে পারবো না কোনোভাবেই না। 
.
||| চলবে |||
.
.
লেখাঃ হৃদয় নাদিম।

Comments